হাদির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জেনেভা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে তিনি দেশে শান্তি বজায় রাখা এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ফলকার তুর্ক বলেন, "গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক।"

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, "প্রতিশোধ গ্রহণ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সবার মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করবে।" তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে হাদির মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।