তফসিলের পর অনুমোদনহীন সমাবেশ-আন্দোলন এড়াতে সরকারের আহ্বান

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ এবং আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকার জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা জোরদারে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৯ লাখ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ইতোমধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে রেকর্ডসংখ্যক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে যেকোনো অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, সড়ক অবরোধ কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। পাশাপাশি বেআইনিভাবে সমাবেশে অংশ নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গত দেড় বছরে দেশে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। ন্যায্য দাবিতে সরকার বরাবরই ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন দেশ নির্বাচনমুখী। তাই সব রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী মহলকে অনুরোধ করা হচ্ছে—যে কোনো দাবি নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে। নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।