ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয়কর হবে: লুলা দা সিলভা
লাতিন আমেরিকার প্রতিবেশী দেশ ভেনেজুয়েলায় যদি কোনো ধরনের বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ ঘটে, তবে তা পুরো অঞ্চলে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "গুলি চালিয়ে কখনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।" শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট মারকোসুরের শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী মনোভাব এবং সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ না করার প্রেক্ষাপটে লুলার এই মন্তব্য এলো। ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে বাড়তে থাকা এই উত্তেজনা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
ব্রাজিলের ফোজ দো ইগুয়াসু শহরে আয়োজিত সম্মেলনে লুলা ১৯৮২ সালের ফকল্যান্ড যুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, প্রায় চার দশক পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও কোনো বিদেশি শক্তির সামরিক উপস্থিতির হুমকিতে রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ কেবল লাতিন আমেরিকা নয়, বরং পুরো পশ্চিম গোলার্ধের মানবিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে এবং বিশ্বজুড়ে একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে।
সম্মেলন শেষে মারকোসুর জোটভুক্ত দেশগুলো এক যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করে। এতে লাতিন আমেরিকার নেতারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার ও মানবাধিকার বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ঘোষণাপত্রে নিজেদের সমর্থন জানান।

Please share your comment: