সু চি বেঁচে আছেন কি না— জানতে না পেরে উদ্বেগে তার ছেলে
মিয়ানমারের কারাবন্দি সাবেক নেত্রী অং সান সু চি আদৌ বেঁচে আছেন কি না, তা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম অ্যারিস। দীর্ঘদিন ধরে মায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না থাকায় এবং তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়ায় তিনি চরম উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিম অ্যারিস বলেন, তার মা দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে পরিবারের কেউই তাকে দেখতে পাননি, এমনকি তার আইনজীবীদেরও সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ পরিবারের কাছেও তার অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে তিনি আশঙ্কা করছেন, তার মা হয়তো আর বেঁচে নেই।
কিমের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সু চির সঙ্গে তার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মাঝেমধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা গেছে, সু চি হৃদ্রোগসহ হাড় ও মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন। দুই বছর আগে পাওয়া একটি চিঠিতে কারাগারের সেলের চরম গরম ও ঠান্ডার কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
চলতি মাসের শেষে সামরিক জান্তার ঘোষিত নির্বাচন প্রসঙ্গে কিম অ্যারিস বলেন, তিনি এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও এটি তার মায়ের জন্য একটি সম্ভাব্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তার আশঙ্কা, জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং রাজনৈতিক স্বার্থে সু চিকে ব্যবহার করতে পারেন, তবে মুক্তি বা গৃহবন্দি অবস্থায় নেওয়া হলেও সেটি কিছুটা স্বস্তির হতে পারে।
অতীতে জাতীয় দিবস বা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বন্দিদের মুক্তির নজির রয়েছে সেনাবাহিনীর। নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চি বর্তমানে উস্কানি, দুর্নীতি ও নির্বাচনি জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন, যা তিনি অস্বীকার করেছেন। কিম অ্যারিস মনে করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ধীরে ধীরে মিয়ানমারের সংকট ভুলে যাচ্ছে, যা তার মায়ের জন্য আরও উদ্বেগজনক।

Please share your comment: