বিশ বছরের মধ্যে ইউরোপ অযোগ্য হয়ে যাবে: ট্রাম্প প্রশাসন
২০ বছর বা তারও কম সময়ের মধ্যে ইউরোপ ‘চেনার অযোগ্য হয়ে যাবে’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সদ্যপ্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নথিতে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর প্রকাশিত ৩৩ পৃষ্ঠার নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে বিশ্ব পরিস্থিতির বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই কৌশল নথিতে ইউরোপকে ‘সভ্যতাগত বিলুপ্তির’ ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দুই দশকে মহাদেশটি ‘সভ্যতাগতভাবে ধ্বংসের বাস্তব ও ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা’ যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্মিত করেছে বলে দাবি নথি প্রণেতাদের।
প্রশ্ন তোলা হয়েছে—এ পরিস্থিতিতে ইউরোপের কিছু দেশ ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না।
নথিতে বলা হয়, ইউরোপের বহুজাতিক কাঠামো—বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)—বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করছে। অভিবাসন নীতিকে সংঘাত সৃষ্টির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সেন্সরশিপ, রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন, জন্মহারের পতন, জাতীয় পরিচয় ও আত্মবিশ্বাস সংকট—এসব বিষয় নথিতে ‘পশ্চিমাদের বিপর্যয়ের’ কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ট্রাম্প এই কৌশলগত নথিকে ‘রোডম্যাপ’ উল্লেখ করে বলেছেন, এর লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে মানব ইতিহাসের “সবচেয়ে সফল জাতি” হিসেবে ধরে রাখা।
নথি প্রকাশের পর ইউরোপজুড়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল মন্তব্য করেন—“জার্মানির বাইরে থেকে উপদেশের প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, ন্যাটো নিরাপত্তানীতির প্ল্যাটফর্ম; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা সামাজিক কাঠামো নিয়ে কৌশল নথিতে মন্তব্য করা উচিত নয়।
ইউরোপ-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউরোপের ‘আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি’ রয়েছে, এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান যুক্তরাষ্ট্রের মূল জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।

Please share your comment: