বাংলাদেশ-পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্যে

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক Published: 04 ডিসেম্বর 2025 22:12 পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ভিসার অপব্যবহার ও সরকারের কঠোর নিয়ম জারির ফলে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সাময়িকভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ বন্ধ করেছে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকার যে নতুন নিয়মনীতির কঠোরতা এনেছে, তার অংশ হিসেবেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নতুন নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিশ্চিত করতে হবে—শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের পড়ার উদ্দেশ্যেই যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে এবং ভিসাকে ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদে সেখানে অবস্থানের চেষ্টা করছে না।

কেন হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞা

হোম অফিসের নতুন নিয়ম অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার থাকতে হবে ৫ শতাংশের নিচে—যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। এছাড়া ভর্তির অনুমতি পাওয়া শিক্ষার্থী বাস্তবে ভর্তি হলো কি না, কোর্স সম্পন্ন করল কি না—এসবের কঠোর অনুসরণও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির লাইসেন্স হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে।

কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে—গত এক বছরে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, গত এক বছরে বিশ্বজুড়ে যেসব ২৩ হাজার ৩৬টি শিক্ষার্থী ভিসা আবেদন বাতিল হয়েছে, তার অর্ধেকই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের। ফলে ঝুঁকি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করছে।

এই তালিকায় রয়েছে—
ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার, ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি—সহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। পক্ষে যুক্তি—ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বাড়বে এবং সত্যিকারের শিক্ষার্থীরা আরও সুযোগ পাবে।
বিপক্ষে যুক্তি—বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বহু যোগ্য শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি র‍্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর অভাবে আর্থিক সংকটে পড়তে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে দুই দেশের অনেক ‘এজেন্ট’ ও মধ্যস্বত্বভোগীর অনিয়মকেও দায়ী করা হচ্ছে।

Please share your comment:

Related