মিয়ানমার নির্বাচন ঘিরে বিপাকে জান্তা সরকার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন চাপে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির নাগরিকদের দেওয়া অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস (টিপিএস) বাতিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখন “ফেরার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ” যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, চলমান সশস্ত্র সংঘাত এই যুক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও গভীর হয়েছে। দেশজুড়ে সশস্ত্র লড়াই অব্যাহত থাকায় নির্বাচন আয়োজন নিয়েও বিপাকে রয়েছে জান্তা সরকার।
টিপিএস বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সিবিপির হোম অ্যাপের মাধ্যমে ফেরার তথ্য জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টিপিএস কাঠামোর আওতায় প্রায় চার হাজার মিয়ানমার নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা ও কাজের অনুমতি পেতেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করেছে মিয়ানমারে “নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ নেই।” বড় বড় অঙ্গরাজ্যের বহু অঞ্চল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সংঘাত থামেনি। কারেন ও কারেননি অঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে জান্তা বাহিনী। মাইন বিস্ফোরণ, মানবিক সহায়তার ঘাটতি এবং খাদ্য সংকট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বেআইনি অনলাইন প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম বাড়ছে। চীনের চাপের মুখে জান্তা সরকার এসব কেন্দ্রে অভিযান চালাচ্ছে; যেখানে হাজারো বিদেশি শ্রমিক জোরপূর্বক বা প্রতারণার মাধ্যমে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

Please share your comment: