৩ মাস বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

টানা তিন মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার বিকেল সোয়া চারটায় ভারত থেকে ৩০ টন পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রকি ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজগুলো ভারতের উত্তর প্রদেশের ইন্দর এলাকা থেকে আনা হয়েছে। হিলি শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ আগস্ট এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রকি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আতিক হাসান জানান, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানিতে ২৫০ মার্কিন ডলারে এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে। ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা হয়েছে ১২ রুপিতে। ওপারে পরিবহনসহ কেজিপ্রতি মোট খরচ পড়েছে প্রায় ১৮ রুপি। হিলি স্থলবন্দরের শুল্কায়ন ও অন্যান্য খরচ যুক্ত করে দেশে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে। আমদানি করা পেঁয়াজগুলো আজ রাতেই রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

গত এক সপ্তাহ ধরে হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের উপজেলার বাজারগুলোতে দেশীয় শুকনা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। পাশাপাশি সদ্য ওঠা পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মোট ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চারটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই অনুমতি পেয়েছে। একজন আমদানিকারক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।