জোটের সমাবেশ থেকে গণভোট নিয়ে সরকারকে কড়া বার্তা জামায়াতের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে সমমনা আটটি দলের প্রথম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে। রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে গণভোটের তারিখ পরিবর্তন না হলে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা, জাতীয় পার্টি ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ–১৪ দল জোটকে নিষিদ্ধকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগীয় শহরে এ ধরনের সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়।
সমাবেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ ঘোষণার সিদ্ধান্ত জাতির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কোনো সংকট চাই না। তবে জনগণের ম্যান্ডেট নষ্ট করার সুযোগ দেওয়া হবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট নিতে হবে—এটাই আমাদের পরিষ্কার দাবি।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের বহু বিষয়ে একটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল, এখন আবার নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত করছে।’
তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি। ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিদের নিয়োগ-বদলিতে একটি পক্ষের প্রভাব নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চাঁদাবাজি-দুর্নীতি করে যারা ক্ষমতায় যেতে চায়, জনগণ এবার তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’ তিনি দাবি করেন, জোটে আরও কয়েকটি দল যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অন্য বক্তারা বলেন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া জনগণ ফল মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আলাদা দিনে গণভোট আদায়ে বড় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইঙ্গিতও দেন তারা।
সমাবেশে খেলাফত, ডেভেলপমেন্ট পার্টি, নেজামে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনসহ জোটভুক্ত বিভিন্ন দলের নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

Please share your comment: